Skip to main content

Posts

অসহ্য কানে ব্যথা থেকে বাঁচার উপায়।

  অসহ্য কানে ব্যথা থেকে বাঁচার উপায়, ছবিতে ক্লিক  করুণ- রাতদুপুরে আচমকা কানে অসহ্য ব্যথা! ওষুধ, ডাক্তার, কিছুই হাতের কাছে নেই! এমন পরিস্থিতিতে সবাইকেই জীবনে একবার না একবার পড়তে হয়েছে! বিশেষ করে এই মুহূর্তে দেশে লকডাউন অনেকটা শিথিল হলেও ডাক্তারেরা এখনও প্রাইভেট চেম্বারে বসে রোগী দেখা শুরু করেননি। ফলে হঠাৎ করে কানে ব্যথা শুরু হলে বিপদে পড়ে যেতে হয়! আরও সমস্যা, সাধারণ পেনকিলারে কানের ব্যথা যেতেও চায় না! কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে? আসলে কানে ব্যথা হয় সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে। পুরোনো সর্দিকাশি থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। আবার স্নান করতে গিয়ে কানে জল ঢুকে গিয়েও টনটন করতে পারে। কানে ব্যথা কমাতে হলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে এবং তেমন তেমন সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তার আগে প্রচণ্ড যন্ত্রণা কমিয়ে একটু স্বস্তি পেতে পারেন। নিম্নে আলোচনা করা হল- গরম সেঁক কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতে আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভিতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে ...

এলার্জি থেকে বাঁচার উপায়।

  এলার্জি থেকে বাঁচার ঘরোয়া উপায়!ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন। এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন।  অনেকের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে এটি।শুধু এলার্জির ভয়ে সুস্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না। যার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। আর চুলকানির বিড়ম্বনা তো রয়েছেই। চিংড়ি, খাশির মাংস, ইলিশ কিংবা গরুর দুধ খেলে শুরু হয় গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলো হলো আপনার এলার্জি থাকার লক্ষণ।  তবে এ থেকে মুক্তি পেতে অনুসরণ করুন ঘরোয়া উপায়টি। যা সারাজীবনের জন্য বিদায় জানাতে পারেন এলার্জিকে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক উপায়টি- ভালো করে  ১ কেজি নিম পাতা রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস জলেতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এ...

শসা খাওয়ার উপকারিতা।

  প্রতিদিন শসা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুন- শসার হাজার গুণের মধ্যে ১৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা ।  শসার উপকরিতা সর্ম্পকে নিম্নে আলোচনা করা হল দেহের জলশূন্যতা দূর করে আপনি এমন কোথাও আছেন, যেখানে হাতের কাছে জল নেই, কিন্তু শসা আছে। বড়সড় একটা শসা চিবিয়ে খেয়ে নিন। পিপাসা মিটে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন চনমনে।কারণ, শসার ৯০ শতাংশই জল। দেহের ভেতর - বাইরের তাপ শোষক কখনো কখনো আপনি শরীরের ভেতর-বাইরে প্রচণ্ড উত্তাপ অনুভব করেন। দেহে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এ অবস্থায় একটি শসা খেয়ে নিন।এ ছাড়া সূর্যের তাপে ত্বকে জ্বালা অনুভব করলে শসা কেটে ত্বকে ঘষে নিন। নিশ্চিত ফল পাবেন। বিষাক্ততা দূর করে শসার মধ্যে যে পানি থাকে তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাটার মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। প্রাত্যহিক ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশির ভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন...

আকন্দ গাছের উপকারীতা।

আকন্দ গাছের উপকারীতা ও চিকিৎসার সর্ম্পকে জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুন- আকন্দ গাছঃ পরিচিতি:   আকন্দ মাঝারি ধরনের ঝোপ জাতীয় উদ্ভিদ। ৮ থেকে ৭ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধুসর বর্ণের এবং কান্ড শক্ত ও কচি ডাল লোমযুক্ত। পাতা ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা উপরিভাগ মসৃণ এবং নীচের দিক তুলোর ন্যায়। ক্ষুদ্র বৃন্ত এবং বৃন্তদেশ হৃদপিন্ডাকৃত। গাছের পাতা শাখা ভাঙলে দুধের মত সাদা আঠা বের হয়। সাদা বা বেগুনি বর্ণের ফুল হয়। প্রাপ্তি স্থান:   বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আকন্দ জম্নে। চাষাবাদ :  ৩ থেকে ৪ ফুট দুরুত্বে আগন্দ গাছ লাগাতে হয়। তবে মে- জুন মাসে ফল পাকলে ফেটে বীজ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ সময় এটি চাষ করা ভালো। এছাড়াও কাটিং পদ্ধতিতেও এটি চাষ করা যায়। প্রতি কেজিতে বীজের পরিমাণ: ১লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৪০ হাজারটি। বীজ সংরক্ষন:  বীজ থেকে বংশ বিস্তর সম্ভব হলেও সাধারণ এর মোথা ও সাকার অংশ থেকে বংশ বিস্তার হয়ে থাকে। আকন্দ ব্যবহার্য অংশ: ফুল, পাতা, শিকড় ও আঠা। উপকারিতা / লোকজ ব্যবহার:  আকন্দ চুলের রোগ, ব্যাথা এবং বিষনাশে বিশেষ কার্যকরী। দাদ ও টাকপড়া নিবারক। আকন্দের কষ তুলায় ভিজ...

বাসক পাতার উপকারিতা।

  বাসক পাতার উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুন- বাসক: বাসক একটি ভারত উপমহাদেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ। আর্দ্র, সমতলভূমিতে এটি বেশী জন্মে। লোকালয়ের কাছেই জন্মে বেশী। হালকা হলুদে রংয়ের ডালপালায়ক্ত ১ থেকে ২ মি. উঁচু গাছ, ঋতুভেদে সর্ব্বদাই প্রায় সবুজ থাকে। বল্লমাকারের পাতা বেশ বড়। ফুল ঘন, ছোট স্পাইকের ওপর ফোটে। স্পাইকের বৃন্ত পাতার চেয়ে ছোট। স্পাইকের ওপর পাতার আকারে উপপত্র থাকে যার গায়ে ঘন এবং মোটা শিরা থাকে। ফুলের দল (কোরোল্লা বা পত্রমূলাবর্ত) সাদা বর্ণ। তার ওপর বেগুনী দাগ থাকে। ফল সুপারি আকৃতির; বীজে ভর্তি। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে রোগ নিরাময়ে গাছ-গাছালির পাতা, শেকড় বা ছাল ব্যবহার করা হতো। সেসব গাছই ছিল আমাদের পূর্বপুরম্নষদের জীবন সাথী। এখনও বাংলার গ্রামে অনেকেই রোগ নিরাময়ে গাছের রস, পাতা বা ছাল ব্যবহার করে থাকেন। সে রকম দুটি গুণী গাছের কথা এবার জানানো হলো : বাসক একটা সময় ছিল যখন বাঙালীর জীবনে হরীতকী, আমলকি, চিরতা, বাসকই ছিল বেঁচে থাকার রসদ। সুস্থতার চাবিকাঠি। আটপৌরে লোকের মুখে ঘুরে ঘুরে বাসকের নাম পরিণত হয়েছিল 'বসায়।' বাসক শব্দটির অর্থ সুগন্ধকারক, যদিও তার সঙ্গে এই উদ্ভিতটির ক...

ভেষজ উদ্ভিদ তমালের উপকারিতা ও গুণাগুণ।

  ভেষজ উদ্ভিদ তমালের উপকারিতা ও গুণাগুণ জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- দৃষ্টি নন্দন কাণ্ড – শাখা আর পত্র পল্লবিত   “তমাল তরু”   আবহমান বাংলার একটি পরিচিত গাছ। বৈষ্ণব কবির কবিতায় একে তমাল তরু বলা হলেও এটি তরু নয় , এটি একটি মধ্যম আকারের অরণ্যক বৃক্ষ। এর উদ্ভিদ জাগতিক নাম “ গার্মেনিয়া জেলখো সাইমাস” Garcinia xanthochymus।। কৃষ্ণ কালো তমাল শাখাঁর ফাকে আকাশকে অপরুপ নীল দেখায় বলে বোধ হয় এর আরেক নাম নীলধজ। হিন্দু সম্প্রদায় তমালকে পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে পূজা দিয়ে থাকেন। আসুন জেনে নেই তমাল গাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা- তমাল এর কটি ডাল জলেতে পেষণ করে ফোঁড়ায় লাগালে উপশম হয়  ১। তমাল এর ফল স্কার্ভির রোগের জন্য বিশেষ উপকারি । ২।পা ফাটা নিরাময়ের জন্য আমশূল ব্যবহার করা হয় । ৩। তমাল এর আমশূল জলের সাথে মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয় । ৪।তমাল ফলের রস করে নিতে হবে । এরপর এটি পানি ও মিছরি মিশিয়ে পান করলে জ্বর ভালো হয়ে যায়। ৫।প্রথমে তমালের কচি পাতা কলাপাতায় জড়িয়ে তার ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে রাখতে হবে। এরপর এটা আগুণে সেকে নিতে হবে । এবার সেই ঝলসানো পাতার রস খেলে আমাশয় উপকার পাওয়া যায় । ৬।খাবারে অরুচি ভাব দেখ...

গুলঞ্চ ভেজষ দ্বারা সমস্ত জটিল রোগের সমাধান।

  গুলঞ্চ ভেজষ দ্বারা   সমস্ত  জটিল রোগের সমাধান, জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ-   গিলয় বা গুলঞ্চ আয়ুর্বেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি গ্রহণ করে অনেক বিপজ্জনক রোগ এড়ানো যায়। গুলঞ্চ সেবন করে আপনি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে পারেন এবং ডায়াবেটিস, রক্তচাপ সহ অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, আয়ুশ মন্ত্রণালয় অনাক্রম্যতা জোরদার করতে এবং গিলয়সহ করোনার মোকাবেলায় কিছু ওষুধ দিয়েছে। জেনে নিন এর উপকারিতা গুলঞ্চ কী? গুলঞ্চ কোন শক্ত গাছ নয়। এর কাণ্ড দড়ির মতো, এর পাতা পান পাতা আকৃতির। এর হলুদ এবং সবুজ ফুল দেখা যায় । বলা হয় নিম গাছের মধ্যে গুলঞ্চ জড়িয়ে উঠলে তা সেরা। কারণ গিলয় এমন একটি উদ্ভিদ, যে গাছের মধ্যে তার লতা ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলি তার বৈশিষ্ট্যও গ্রহণ করে।  গুলঞ্চে উপস্থিত উপাদান গুলঞ্চে টিনোস্পোরিন, প্যালমারিন এবং টেনোস্পোরিক অ্যাসিড ছাড়াও গুইলয়েন এবং ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম, তামা, আয়রন, ফসফরাস, দস্তা ইত্যাদি নামে গ্লুকোসাইড রয়েছে। এটি ছাড়াও এটি প্রদাহবিরোধী বলে প্রমাণিত হয়। উপকারিতা ডায়াবেটিস রোগীরা যদি কোনও ব...