Skip to main content

Posts

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...

আনারসের উপকারিতা।

  আনারস খাওয়ার যত উপকারিতা  জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ - সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল আনারস । পুষ্টিগুণে আনারস অতুলনীয়। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। যেগুলো শরীরের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে অথেরোস্ক্লেরোসিস, হার্ট রোগ, বাত এবং বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। প্রতি ১০০ গ্রামে আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি। এতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, ০.১২ গ্রাম সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১৩.১২ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন- সি ৪৭.৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম, আঁশ ১.৪ গ্রাম এবং ১.২ মিলি গ্রাম লৌহ রয়েছে। আনারস জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আনারস গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। হজমে সাহায্য করে। সঙ্গে শরীরের অন্য অঙ্গগুলোকেও ভালো রাখে। দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহয়তা করে আনারস। আবার আনারস ক্ষুধ...

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা।

পেয়ারা খাওয়া সাস্থ্যের জন্য উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ-  অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’ এর পরিমাণ এত বেশি যে আমলকী ছাড়া অন্য যে কোনো ফলে এত ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায় না। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পেয়ারার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। পেয়ারার পুষ্টি গুনাগুণ :  এটি একটি পুষ্টিকর ফল। ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি । অন্যান্য সাইট্রাস ফল, যেমন—কমলালেবুর তুলনায় পেয়ারায় ৫ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে। রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন। সেইসঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড। পেয়ারায় ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি কমপ্লেক্সও পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ১৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ক্যালরি ৭, ভিটামিন-এ ২৫০ আই ইউ, থিয়ামিন ০.০৭ গ্রাম, নিয়াসিন ১.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ৩০২ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৭.১ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম। পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতা :   অনেকে পেয়ারাকে একটি সাধারণ ফল মনে করে অবহেলা করেন। খেতে চান না। তবে ...

পাকা তালের উপকারিতা।

  পাকা তালের উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুন- পুষ্টিগুণ পাকা তালে থাকে প্রচুর পরিমাণ খনিজ পদার্থ ও আঁশ। প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, অ্যামাইনো এসিডেরও ভালো উৎস তাল। এ ছাড়া তালে আছে  ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরো আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। উপকারিতা * পাকা তালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। * তালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাল বমি ভাব দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। * অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। স্মৃতিশক্তি হ্রাস হওয়া কমাতে সাহায্য করে। * ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। * তালে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য আঁশ থাকায় তাল হজ...

আখের রসের গুণাগুণ ও উপকারিতা।

আখের রসের গুণাগুণ ও উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- আমরা জানি আখ বা আখের রস হলো প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার যা আমাদের শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে না বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করে। আজকে আমরা জেনে নেব আখের মহামূল্যবান গুনাগুন।আমাদের সকলের আখ বা আখের গুনাগুন সম্পকে জানা দরকার।এতে আমরা অনেক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারি।তাই আমাদের আখের উপকারিতা ও অপকারিতা কি জানতে হবে। সাতে সাতে এনার্জি পেটের সমস্যা বা ডিহাইড্রেশন এর জন্য আপনার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ জল বেরিয়ে যাচ্ছে? তাহলে এক গ্লাস আখের রস পান করুন এর কারনে আমরা সাতে সাতে অনেক শক্তি পেতে পারি। কারণ আখের রসে আছে চিনি বা গ্লুকোজ যা শরীরের খুব সহজেই শোষিত হয় এবং শরীরকে রি-হাইড্রেট করে সতেজ করে তোলে।তাই আমাদের আখের উপকারিতা ও অপকারিতা কি জানতে হবে। দাঁতের যত্নে  আখ মানব শরীরে একটি খুব দরকারি অর্গান এর মধ্যে দাঁত অন্যতম। আর এই দাঁত ভালো রাখতে আখের রস খুবই উপকারী। ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান দাঁত ক্ষয় এর হাত থেকে বাঁচায় এবং দুর্গন্ধ যুক্ত নিঃশ্বাস এর বিরুদ্ধে কাজ করে।একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে বাড়ন্ত শিশুরা যদি ...

বাতাবি লেবুর বা জাম্বুরা ফলের উপকারিতা।

  প্রাণঘাতী রোগের মহৌষধি বাতাবি লেবু, জেনে নিন গুণাগুণগুলি ছবিতে ক্লিক করুণ- বাতাবি লেবু এক প্রকার টক-মিষ্টি জাতীয় ফল। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল।এর উপকারিতা রয়েছে অনেক। প্রায় সব বয়সের মানুষের অতি প্রিয় ও মুখরোচক ফল এটি। বাতাবি লেবুকে অনেকে জাম্বুরাও বলে থাকেন। পরিচিতি: বাতাবি লেবুকে বিভিন্ন ভাষায় পমেলো, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি নামে পরিচিত। কাঁচা ফলের বাইরের দিকটা সবুজ এবং পাকলে হালকা সবুজ বা হলুদ রঙের হয়। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপী রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভিতর দিকটা ফোম এর মত নরম । লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়; যা ১৫-২৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এর ওজন ১-২ কেজি হয়। বাতাবি লেবুর পুষ্টিগুণ : প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য বাতাবি লেবুতে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৩ গ্রাম, শর্করা ৮.৫ গ্রাম। খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, থায়ামিন ০.০৩৪ মিলি গ্রাম, খনিজ লবণ ০.২০ গ্রাম, রিবোফ্লেভিন ০.০২৭ মিলি গ্রাম,  নিয়াসিন ০.২২ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলি গ্রাম,  ভিটামিন বি৬ ০.০৩৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন সি ১০৫ মিলি গ্রাম,  ক্যারোটিন ১২০ মাইক্রো গ্...

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা।

  কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- ভীষণ উপকারী জিনিস কালিজিরা। এটাকে খাবার না বলে পথ্য বলাই ভালো। কালোজিরার বৈজ্ঞানিক নামঃ Nigella Sativa Linn.- এটি মাঝারী জাতীয় মৌসুমী গাছ, একবার ফুল ও ফল হয় । তিন-কোনা আকৃতির কালো রং এর বীজ হয় । গোলাকার ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে । আয়ুর্বেদীয় , ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। মশলা হিসাবে ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে, এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান। কালিজিরার কিছু গুনাবলি : প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানতে পেরেছেন যে কালিজিরার সব গুণ লুকিয়ে আছে এর তেলে। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে ফসফরাস। তাই জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরাকে অবহেলা করলে চলবে না। সাধারণত আমরা খাবারের সঙ্গে মসলা হিসেবে অথবা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে কালিজিরা খেয়ে থাকি। কিন্তু এভাবে আমাদের স্বাস্থ্য কালিজিরার আসল গুণাবলি থেকে বঞ্চিত হয়। তাই কালিজিরা নয়, বরং কালিজিরার তেল আমাদের শরীরের জন্য নান...