Skip to main content

বাতাবি লেবুর বা জাম্বুরা ফলের উপকারিতা।

 

প্রাণঘাতী রোগের মহৌষধি বাতাবি লেবু, জেনে নিন গুণাগুণগুলি ছবিতে ক্লিক করুণ-





বাতাবি লেবু এক প্রকার টক-মিষ্টি জাতীয় ফল। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল।এর উপকারিতা রয়েছে অনেক। প্রায় সব বয়সের মানুষের অতি প্রিয় ও মুখরোচক ফল এটি। বাতাবি লেবুকে অনেকে জাম্বুরাও বলে থাকেন।

পরিচিতি:
বাতাবি লেবুকে বিভিন্ন ভাষায় পমেলো, জাবং, শ্যাডক ইত্যাদি নামে পরিচিত। কাঁচা ফলের বাইরের দিকটা সবুজ এবং পাকলে হালকা সবুজ বা হলুদ রঙের হয়। এর ভেতরের কোয়াগুলো সাদা বা গোলাপী রঙের। এর খোসা বেশ পুরু এবং খোসার ভিতর দিকটা ফোম এর মত নরম । লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড়; যা ১৫-২৫ সেমি ব্যাস বিশিষ্ট হয়ে থাকে। এর ওজন ১-২ কেজি হয়।

বাতাবি লেবুর পুষ্টিগুণ :
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য বাতাবি লেবুতে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৩৮ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, স্নেহ ০.৩ গ্রাম, শর্করা ৮.৫ গ্রাম। খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, থায়ামিন ০.০৩৪ মিলি গ্রাম, খনিজ লবণ ০.২০ গ্রাম, রিবোফ্লেভিন ০.০২৭ মিলি গ্রাম,  নিয়াসিন ০.২২ মিলি গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০৪ মিলি গ্রাম,  ভিটামিন বি৬ ০.০৩৬ মিলি গ্রাম, ভিটামিন সি ১০৫ মিলি গ্রাম,  ক্যারোটিন ১২০ মাইক্রো গ্রাম,  আয়রন ০.২ মিলি গ্রাম,  ক্যালসিয়াম ৩৭ মিলি গ্রাম,  ম্যাগনেসিয়াম ৬ মিলিগ্রাম,  ম্যাংগানিজ ০.০১৭ মিলিগ্রাম,  ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম,  পটাশিয়াম ২১৬ মিলিগ্রাম এবং সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম।

উপকারিতা:

১.ওজন কমাতে সহায়তা করে:

যদি শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে নিতে চান তবে বাতাবি লেবু খাওয়া আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। কারণ বাতাবি লেবুতে আছে ফ্যাট বার্নিং এনজাইম, যা শ্বেতসার ও সুগার শোষণ করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।

২. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

বাতাবি লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণ বায়োফ্যাভোনয়েড। যা ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন থেকে শরীরকে মুক্ত রাখার কারণে ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসায় বাতাবি লেবু ভূমিকা রেখে থাকে। প্রোটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে বাতাবি লেবু কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

৩. হৃদরোগে উপকারী:

বাতাবি লেবুতে আছে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম, ভিটামিন সি। ফলে বাতাবি লেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। আর নিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগে উপকারী। বাতাবি লেবু রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

৪.রক্ত পরিষ্কারক:
বাতাবি লেবুতে বিদ্যমান পেকটিন ধমনীর রক্তে দূষিত পদার্থ জমা হতে বাধা দেয় এবং দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। বাতাবি লেবুর রস রক্তের লোহিত কণিকাকে টক্সিন ও অন্যান্য দূষিত পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে।

৫.হজম সমস্যায় কার্যকরী:

অম্ল জাতীয় হওয়ার কারণে খাদ্য পরিপাকে বাতাবি লেবু অত্যন্ত সহায়ক। খাদ্য পাচিত হওয়ার পর বাতাবি লেবুর রস অ্যালকালাইন রি-অ্যাকশন তৈরি করে হজমে সহায়তা করে।

৬.দাঁত ও মাড়ির রোগে:
দাঁত ও মাড়ির রোগে বাতাবি লেবুর পাতা ব্যবহার করা হয়। বাতাবি লেবুর রস মাড়ির রোগে উপকারী।

৭.ত্বকের সতেজতা বৃদ্ধি করে:
অতিরিক্ত ভিটামিন সি থাকার কারণে ধমনীর ইলাস্টিক অবস্থা ও দৃঢ়তা রক্ষায় ও বাতাবি লেবু অত্যন্ত কার্যকর। আর ত্বকের যত্নেও এটি খুবই উপকারী। কারণ, এটি ত্বককে কুঁচকাতে দেয় না। বাতাবি লেবুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

লেখাটি ভালো লাগলে দয়া করে লাইক ও শেয়ার করবেন। উপকৃত হলে আমার পরিবারের জন্য আর্শিবাদ করবেন।ধন্যবাদ। 

Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

গ্রাস্ট্রিকের হাত থেকে বাঁচতে হলে সঠিক চিকিৎসা নিন।

কাঁচা পেঁপে এবং থানকুনি পাতা ব্যবহারের চিরমুক্তি হবে   পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ।   আসুন একবার জেনে নিন দেখুন কিভাবে কাঁচা পেঁপে এবং থানকুনি পাতা ব্যবহারের চিরমুক্তি হবে   পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা ।  আমার এই চিকিৎসা করে আমি নিজেই ভালো হয়েছি আমার ডাক্তার দেখানোর মতো কোনো অর্থ ছিলো না। আমি বিজ্ঞান বিভাগে লেখাপড়া করে জেনেছি এই প্রাকৃতি চিকিৎসা  এবং আমি ভারতের একজন কবিরাজির কাজ থেকেও  চিকিৎসা শিখেছিলাম।   আজকের আমি আপনাদের অল্প খরচে  এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লেখাটি পোস্ট করলাম। ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন তো আরো এই রোগে আক্রান্ত হবেন। ভুলেও এদের কাছে যাবেন না। আমার প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবহারের আপনি সারাজীবন ভালো থাকবেন সৃষ্টিকর্তা আপনাদেরকে ভালো রাখবেন। তবে সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলে আপনার সমস্যা হবে। তাই লেখাটি ভালোভাবে পড়ুন এবং জানুন নিম্নে এর ব্যবহার সম্পর্কে  আলোচনা করা হল।   থানকুনি পাতা এর ব্যবহারঃ প্রথমে ২৫ গ্রাম থানকুনি পাতা নিতে হবে এর পর সকালে মলমূত্র ত্যাগ করে খালি লবন দিয়ে সেবন করতে হবে । সেবনের ৩০ ...