Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2021

হরতকি মানবদেহের জন্য মহাষৌধ।

হরতকি মানবদেহের জন্য মহাষৌধ- ছবিতে ক্লিক করুণ যানতে পারবেন। হরতকি ফল ছবিঃ হরতকি নামটির সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। আয়ুবের্দীয় চিকিত্‍সা শাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য ভেজষ উদ্ভিদ হলো ত্রিফলা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত একটি ফল হলো হরতকি। ভেজষ শাস্ত্রে হরতকির রয়েছে বিশেষ গুণ ও উপকারিতা। আয়ুবের্দ চিকিত্‍সা শাস্ত্রে, তেঁতো স্বাদের ছোট এ ফল মানব দেহের জন্য মহাষৌধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হরতকি কেন খাবেন, খেলে কী কী উপকার হবে? সেসব সম্পর্কে জেনে নিন- হরতকি ফলটি ট্যানিন, অ্যামাইনো এসিড, ফুট্রোজ ও বিটা সাইটোস্টাবেল সমৃদ্ধ। এটি দেহের অন্ত্র পরিষ্কার করে এবং একেই সঙ্গে এটি মানব দেহের শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এটা রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমাতে বেশ কার্যকর। হরতকি হৃদপৃন্ড ও অন্ত্রের অনিয়ম দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। এটি পরজীবী নাশক, পরিবর্তন সাধক ও অন্ত্রের খিঁচুনি রোধক ও স্নায়ুবিক শক্তি বর্ধকও বটে। হরতকি কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে। স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অবসাদ ও অধিক দুর্বলতার চিকিত্‍সাতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও আরও প্রচুর উপকারিতা রয়েছে হরতকির। এই ফলটিতে অ্যান্থাইন কুইনোন থাকার...

মনসা গাছ এর ঔষধি গুণ ও উপকারিতা।

  মনসা গাছ এর ঔষধি গুণ ও উপকারিতা- ছবিতে এখানে ক্লিক করুণ।                         মনসা গাছ এর ছবিঃ   বাংলাদেশে প্রায় সব এলাকাতে মনসা গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বাংলায় মনসা গাছ কে দেবীরূপে পূজা করা হয়। এই গাছ বেশি উঁচু ও ডালপালাযুক্ত হয় না। মনসা গাছের গায়ে ও ডালে ছোট ছোট অসংখ্য কাঁটা হয় । যে মনসা গাছে বেশি ঘন কাঁটা থাকে সে গাছের আঠাই বেশি ভেষজ গুণ সম্পন্ন হয়। এ গাছ কাটলে বা এর পাতা কাটলে বা এর পাতা ভাঙলে দুধের মতো সাদা আঠা বেরুতে থাকে। শিগিগিরই এই আঠা শুকিয়ে যায়। বসন্তকালে হলুদ রঙের ছোট ছোট ফুল হয়। আবার এ বসন্ত ঋতুর শুরুতেই গাছে ছুরি বা কাটারি দিয়ে আঘাত করে তরুক্ষরি সংগ্রহ করা হয়। মনসা গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা ও শুকনো আঠা নানা রকম ঔষধরূপে ব্যবহার করা হয়। এখন মনসা গাছের বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানব- বাত নিরাময়েঃ মনসার পাতাকে আগুনে ঝলসে নিতে হবে। এরপর রস দু চার ফোঁটা অল্প দুধে মিশিয়ে দুই বেলা খেলে বাত ব্যাথায় ভালো উপকার পাওয়া যায়। চোখের পিচুই পড়া নিরাময়েঃ মনসার পাতার কাজল তৈরী করে তা শিশুদের চোখে লাগা...

করোনা থেকে বাঁচার উপায়।

করোনা থেকে বাঁচার উপায়-- ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন করোনার ছবিঃ প্রকৃত তথ্য জেনে এবং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করে নিজেকে এবং আপনার চারপাশের মানুষদের সুরক্ষিত রাখুন। আপনার স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলুন। মাস্ক পরে থাকুন  আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন  নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। COVID-19-এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে: আপনার হাত প্রায়শই পরিষ্কার করুন। সাবান এবং জল বা অ্যালকোহল রয়েছে এমন হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। কাশি বা হাঁচি হচ্ছে এমন ব্যক্তির থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন। দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। আপনার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। কাশি বা হাঁচির সময় আপনার নাক এবং মুখটি কনুই ভাঁজ করে বা টিস্যু দিয়ে কভার করুন। অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতেই থাকুন। জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। আগে থেকে কল করে নিলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী দ্রুত আপনাকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যথাযথ সুবিধা দিতে পারবে। এর ফলে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন এবং ভাইরাস ও অন্যান্য সংক্রামকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে। মাস্ক মাস্ক ব্যবহার করলে, তা মাস্ক পরা ব্যক্তির থেকে...

ঔষুধি গুণে ভরা নিশিন্দা ।

   নিশিন্দা সর্ম্পকে জেনে রাখুন ঔষুধি গুণে ভরা নিশিন্দা।এখনই ছবিতে ক্লিক করুণ। নিশিন্দা গাছের ছবিঃ ঔষধি গাছ নিশিন্দা যার শাখার ডগায় এক গোছা খুব ছোট আকারের ফুল। মূলত এটি ছোট আকারের বৃক্ষ অথবা একটি বড় ধরনের গুল্ম। লম্বা পাঁচথেকে সাত মিটার যা তিন থেকে পাঁচ ফলক বিশিষ্ট হয়ে থাকে। একেকটি পাতা দুই থেকে তিন সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। ছোট আকারের বেগুনি রঙা ফুল। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিশিন্দা গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। এটি একটি কার্যকর ঔষধি গাছ। নিশিন্দা বাংলা নাম। নিশিন্দাকে সামালু, নিশিন্দে ও নিগুণ্ডী নামেও ডাকা হয়। সংস্কৃত নাম সিন্দুভার, ইন্দ্রাণী ও নীলা নির্গুণ্ডি। চাকমা ভাষায়, নিশিন্দা হলো গাউর বো, মারমারা বলে চয়েং মাইন। যার প্রচলিত ইংরেজি নাম চেস্ট ট্রি (Chinese chaste tree)। দেশের সর্বত্রই এই পত্রঝরা গুল্ম অথবা গাছটির দেখা পাওয়া যায়। তবে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে একটু বেশিই এর দেখা মেলে। গুণাগুণ নিশিন্দা গাছের পাতা, ফুল, বীজ ও মূল ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। সব ধরনের চর্মরোগ, সর্দি, হাঁপানিসহ গলগণ্ড রোগে নিশিন্দা ব্যবহারে রোগ উপশম হতে দেখা যায়। তাছাড়া জ্বর,...

রোগ সারাতে তেলাকুচো পাতা এবং এর ঔষধি গুন।

রোগ সারাতে তেলাকুচো পাতা এবং এর ঔষধি গুন সম্পর্কে জানুন। তেলাকুচো লতার ছবিঃ তেলাকুচা একপ্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে চারপাশে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে একে কুচিলা', তেলা, তেলাকচু, তেলাহচি, তেলাচোরা কেলাকচু, তেলাকুচা বিম্বী ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। অনেক অঞ্চলে এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। গাছটির ভেষজ ব্যবহারের জন্য এর পাতা, লতা, মূল ও ফল ব্যবহৃত হয়। নিম্নে তেলাকুচো এর উপকারিতা সর্ম্পকে দেওয়া হলঃ ১। পিত্তির রোগ ও নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়া সারায়, বায়ু দূর করে। ২। তেলাকুচোও মল নিঃসসারণ করায়। অরুচি নাশ করে। শ্বাসের কষ্ট, কাশি ও জ্বর সারিয়ে তোলে। বমিভাব দূর করে। স্বাদে তেতো হওয়ার জন্যে খিদে বাড়িয়ে দেয়। ৩। রক্তবিকার অর্থাৎ দোষ শোধন করে। ৪। বমন করাবার শক্তি আছে। ৫। কফ এবং জন্ডিস রোগ আরোগ্য করে। ৬। এই গাছের মূল বমি করায় এবং জোলাপের কাজও করে। ৭। শোথ রোগ সারিয়ে দেয়। ৮। ডায়বেটিস রোগের পক্ষে তেলাকুচোর পাতা অত্যন্ত উপকারী ও হিতকর। প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো পাতা চূর্ণ বা টাটকা পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যাবেই। ৯। তেতো তেলাকুচোর মূলের চূর্ণ খাওয়ালে প্রস্রাবের সঙ্গে শ্বেত পদার্থ বেরি...

একটি শিশুর গড় ওজন কিরূপ হওয়া উচিত।

  একটি শিশুর গড় ওজন কিরূপ হওয়া প্রয়োজন জেনে নিন। শিশু ও ওজন ছবিঃ   আপনার শিশু রোগা বা মোটা হয়ে গেল কি না তা নিয়ে আপনি সবসময় চিন্তিত৷ কিন্তু আপনি নিজেই বাচ্চাকে ওজন করে তার সঠিক সুস্থ্যতা গড়ে তুলতে পারেন। নিম্নে একটি চাট দেওয়া হল - জন্মের সময় শিশুর ওজন হতে হবে ৩. ৪৮ কেজি ৮ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৪.১৭ কেজি ১২ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৫.৪৭ কেজি ১৬ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৬.৮৫ কেজি ২০ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৭.১৪ কেজি ২৪ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৭.৬৫ কেজি ২৮ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৮.১৪ কেজি ৩২ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৮.৫৪ কেজি ৩৬ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৮.৯০ কেজি ৪০ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৯.২২ কেজি ৪৪ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ৯.৯৫ কেজি ৪৮ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ১০. ০০ কেজি ৫২ সপ্তাহ পর শিশুর ওজন হতে হবে ১১.০০ কেজি  আমার এই লেখাটি সকল শিশুর মঙ্গলের জন্য আমি চেষ্টা করেছি মানুষের মাঝে তুলে ধরতে আমার জন্য একটু আর্শিবাদ করবেন অবহেলা করবেন না দয়া করে লাইক শেয়ার করে মানুষের পাশে থাকেন। ধন্যবাদ।     Find out what the average w...

আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নখের গুরুত্ব।

আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নখের গুরুত্ব দেওয়া একান্ত জরুরী।ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন। সৌন্দর্য নখের ছবিঃ  পরিস্কার সুন্দর চোখ ও গোলাপী বর্ণের নখ হল সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। আমরা কিভাবে নখের যত্ন নিবো তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ ১। প্রতি সপ্তাহে দু-বার না হোক একবার নখ কাটা প্রয়োজন। তা না হলে নখের ভিতর জমে থাকা ময়লা খাদ্যের সঙ্গে পেটের ভিতর গিয়ে নানারূপ রোগের সৃষ্টি করে। নখের ভিতর যাতে ময়লা না জমতে পারে সেজন্য প্রতিদিন নখ পরিস্কার করতে হবে। ২। আজকাল মেয়েরা তো বটেই ছেলেদের মধ্যেও কারও নখ রাখার প্রবণতা দেখা যায়। এটা যে অস্বাস্থ্যকর তা নয়। কিন্তু এটা যদি ‍নিয়মিত পরিস্কার না করা হয় তবে নখের কোণে জমে থাকা ময়লা খাবার সময় খাদ্যের সঙ্গে পেটে গিয়ে পেটের গোলমাল হতে পারে। যারা বড় নখ রাখেন তাদের প্রতিদিন নখ পরিস্কার রাখা উচিত আর তারা চামচে করে খেলে ভালো হয়। ৩। আবার মেয়েরা এমনকি অনেক ছেলেরাও নেল পালিশ ব্যবহার করে। অতিরিক্ত নেল পালিশ ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। ৪। প্রতিদিন নখের আশে পাশের ত্বক পরিস্কার রাখতে হয়। ৫। টুথব্রাশ দিয়ে জৈতুনের তেল দিয়ে বা ক্রিম দিয়ে নখ পরিস্ক...