Skip to main content

এই শীতে খান ফুলকপি শরীর সুস্থ্য থাকবে।

 শীতে খান ফুলকপি, এর উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুন-







চলছে শীতকাল। শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে বাজার। এর অন্যতম ফুলকপি। মূলত রান্না করে, সালাদের সঙ্গে, ভেজে, নানা ধরনের স্যুপ বানিয়ে এটি খাওয়া যায়। এর রয়েছে বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা। 

 

ক্যান্সার প্রতিরোধ
ফুলকপি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর সালফোরাফেন উপাদান মারণঘাতী রোগের স্টেম সেল ধ্বংস করে। শরীরে বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

 

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে
হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে দারুণ কার্যকরী ফুলকপি। এর সালফোরাফেন রক্তচাপ কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ব্রেন স্ট্রোকের সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

 

কিডনি ভালো থাকে
শরীরে ব্যাপক পানি সরবরাহ করে এই সবজি। ফলে কিডনি ভালো থাকে। এতে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ধমনীর প্রদাহ রোধে যা দারুণ সহায়তা করে।

 

প্রদাহজনিত সমস্যা দূর
সুস্বাস্থ্যের জন্য দেহে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন জরুরি। তবে এর পরিমাণ বেড়ে গেলে স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। ফলে ক্যান্সার-হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’, যা শরীরের দহন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

 

ভিটামিন, খনিজের যোগান
সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের এসব চাহিদা পূরণ হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। পাশাপাশি ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ আছে।

 

মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
ফুলকপিতে রয়েছে কলিন। এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এক ধরনের পানিজাতীয় পুষ্টি উপাদান। এছাড়া ভিটামিন বি আছে, যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। ফলে যেকোনো বিষয় দ্রুত শেখা যায়। এছাড়া বয়স বৃদ্ধির কারণে স্মৃতিবিভ্রমের সম্ভাবনা হ্রাস করে। 

 

হজমে সহায়তা
এ সবজিতে রয়েছে ব্যাপক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া এর ফাইবার খাবার হজম হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ফলে দ্রুত ওজন কমে।

 

লিভার সুস্থ রাখে
ফুলকপি ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর। ফুলকপিতে লিভার সুস্থ রাখে।


লেখাটি ভালো লাগলে দয়া করে কমেন্ট ও শেয়ার করুন ভালো কিছু জানুন মানুষের পাশে থাকুন। ধন্যবাদ। 


৭.   ফুলকপিতে ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। ত্বকের বলিরেখা রুখতে এর জুড়ি নেই। 

Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...