Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2021

সর্দিকাশি থেকে বাঁচার উপায়।

সর্দিকাশি থেকে বাঁচার উপায় ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন। ঠান্ডা লাগলে গলায় খুশখুশে ভাব, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ভার হয়ে থাকার মতো সব বিরক্তিকর উপসর্গ দেখা দেবেই। সাধারণ সর্দি-কাশিতে কমসে কম এক সপ্তাহ পুরো নাজেহাল অবস্থা হয়ে থাকে। ওষুধপত্রে তেমন একটা কাজ হয় না। কারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো কার্যকর ওষুধ খুব একটা নেই। ঠান্ডা কিংবা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ১. কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকুন। কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। যদি তার একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে, তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি কিংবা সর্দিতে। ২. বারবার আপনার হাত দুটি ধুয়ে নিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাৎ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠান্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো বস্তু স্পর্শ করে তখন হাত থেকে জীবাণু সেই বস্তুতে লেগে যায়। ঠান্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। ৩. বদ্ধ জায়গায় সতর্ক থাকুন। অফিসঘরগুলোতে বায়ু সঞ্চালন দুর্বল থাক...

শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাণায়াম ব্যায়াম এবং এর উপকারিতা।

শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাণায়াম ব্যায়াম এবং এর উপকারিতা জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- প্রাণ-আ-যম (সংযত করা)+ ঘঞ্ করণবাচ্য। প্রাণায়াম মূলত শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণ। প্রাণের আয়াম অর্থাৎ প্রাণের দীর্ঘতাই প্রাণায়াম। সঠিক নিয়মে শ্বাস গ্রহণ, ধারণ এবং ত্যাগকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমই প্রাণায়াম। যোগশাস্ত্রে নাকের সাহায্যে ফুসফুসে বাতাস পুরণ করে সংরক্ষণ এবং ফুসফুস থেকে বাতাস বের দেওয়ার বিশেষ নিয়মবদ্ধ প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রাণায়াম করা হয়। শরীরের ভিতরে বায়ুর প্রবেশ ও নিষ্ক্রমণের প্রক্রিয়ার দ্বারা, বায়ুর বিস্তার ঘটে, তার সংযম করার প্রক্রিয়াই হলো প্রাণায়াম। এই সংযমের প্রক্রিয়া পাঁচটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এই চারটি ধাপ হলো— পূরক, অন্তর কুম্ভক, রেচক ও বাহ্য কুম্ভক। পূরক : বাতাস দ্বারা ফুসফুস পূরণ করণ। অন্তর কুম্ভক : বাতাস দ্বারা ফুসফুস পূরণ হওয়ার পর, কিছুকাল তা ধারণ করা। রেচক : ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণ বাতাস খালিকরণ। বাহ্য কুম্ভক : ফুসফুস বায়ুশূন্য করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা। প্রাণায়াম অভ্যাসের জন্য চারটি বিশেষ দিকে নজর দিতে হয়। এই দিক চারটি হলো— ১. উপযুক্ত স্থান ২. বিহিত কাল ৩ পরিমিত আহার ৪. নাড়ীশুদ...

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায়।

  ডায়াবেটিস থেকে বাঁচার উপায় জেনে রাখুন ছবিতে ক্লিক করুণ- শুধু বুড়ো মানুষই নয়, বহু তরুণও এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। ডায়াবেটিসের সরাসরি নিরাময় না থাকায় এতে আক্রান্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। তবে কিছু উপায় রয়েছে যা আগে থেকে পালন করলে ডায়াবেটিস দূরে রাখা যায়। এ লেখায় রয়েছে ডায়াবেটিস সচেতনতার তেমন কিছু উপায়।   ডায়াবেটিসকে জানুন শরীরের ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতায় রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। সময় থাকতেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এতে আগে থেকেই রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা যায়।  খাবারের পরিমাণ কমান মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। এ কারণে খাবারের পরিমাণ কমানো উচিত আগেভাগেই। খাবার খাওয়া কমানোর জন্য ছোট ছোট প্লেটে অল্প করে খাবার নিতে পারেন। এছাড়া খাবার খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলেও তাতে খাবারের পরিমাণ কমতে পারে। শারীরিক অনুশীলন করুন আপনি যদি নিয়মিত শারীরিক অনুশীলন করেন তাহলে তা নানাভাবে আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করবে। বিশেষ করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন রোগ দূরে রাখায় এর ভূমিকা রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসের মতো রোগও ...

ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায়।

  ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- কোভিড সংকটের মাঝে দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এডিস মশার মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। ডেঙ্গু ছাড়াও যন্ত্রণাদায়ক মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, জিকা ভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগ। মশা মারার স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল ব্যবহার করেও উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া তো যায়ই না উল্টো স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় মারাত্মক ভাবে। তাই মশা তাড়ানোর সহজ ৫ প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিতে পারেন। লেবু ও লবঙ্গ লেবু খণ্ড করে কেটে নিয়ে তার ওপরের অংশে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। লক্ষ্য রাখবেন লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ যেনো বাইরের দিকে থাকে। এভাবে কয়েকটি টুকরায় লবঙ্গ গেঁথে একটি প্লেটে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা দূর হয়ে যাবে। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে মশা ঘরেই ঢুকবে না। কর্পূর মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কর্পূরের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। যেকোনো ফার্মেসিতে কর্পূরের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট জলপূর্ণ বাটি...

ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা।

  ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা ছবিতে ক্লিক করুন জেনে নিন-    পুষ্টি উপাদানে ভরপুর কম ক্যালোরি যুক্ত, টাটকা ডাবের জল খান। এটা একাধারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্কের মতন খনিজ উপাদান মিশ্রিত, যা একসাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।এই স্বাস্থ্যকর পানীয়ের মধ্যে সাইটোকিন নামক প্রাণীজ হরমোন থাকে, যার অ্যান্টি-এজিং, অ্যান্টিক্যান্সার ও অ্যান্টিথ্রম্বোটিক প্রভাব আছে। অতএব, সবসময়ে টাটকা ও শুদ্ধ ডাবের জল খান। রোজ কয়েক কাপ ডাবের জল খেলে কিংবা এটাকে নানান রকমের মিষ্টি রান্নার পদের মধ্যে দিলে, সেটা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিম্নলিখিত উপকারিতা দেয়। রিহাইড্রেশানের উন্নতি ঘটায় ডাবের জলের ভেতরের ইলেক্ট্রলাইটের গঠন ডায়ারিয়া, বমি ও অত্যাধিক ঘামের জন্য যে ফ্লুয়িড নষ্ট হয়ে যায় সেটা পুনরায় ভরে দেয়। এটা কার্বোহাইড্রেটের উৎকৃষ্ট উৎস এবং এনার্জির মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে, শরীরচর্চার পরে ডাবের জলের সাহায্যে শরীরকে রিহাইড্রেট করা হয়। এটাও দেখা গিয়েছে, যে স্পোর্টস ড্রিঙ্কের মতন, ডাবের জলও ...

ভেষজ খাবারের উপকারিতা।

  ভেষজ খাবার এর উপকারিতা ও ব্যবহার জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ। যষ্টিমধু যষ্টিমধূ অন্যতম প্রধান একটি ভেষজ খাবার। এটা মূলত গাছের শিকড়। আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে, পৃথিবীতে যত ওষুধ তৈরি হয়, তার প্রায় প্রতিটিতে যষ্টিমধু দেওয়া হয়। ঠাণ্ডা লাগা, ঠান্ডাজ্বর, কাশি, গলাব্যথা, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতেও যষ্টিমধুর তুলনা নেই। যাঁরা এসিডিটিতে ভোগেন, তাঁরা ফুটানো জলেতে যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করে ওই জলের ভেতর মধু দিয়ে পান করুন, উপকার পাবেন। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দুধের সঙ্গে যষ্টিমধুর গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন, স্মৃতিশক্তি বাড়বে। ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে যষ্টিমধু ও ঘি একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এছাড়া ত্বকের বলিরেখা, ব্রণ ও দাগ দূর করে। অশ্বগন্ধা অশ্বগন্ধা  এমন একটি ভেষজ খাবার যা ক্লান্তি দূর করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আমাদের শরীর যখন খুব ক্লান্ত হয়ে পরে, তখন রোগ প্রতিরোধ সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। এই সময় অশ্বগন্ধা এন্ডোক্রাইন হরমোনের নিঃসরণে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে এবং আমাদের স্নায়ুকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। এরফলে ক্লান্তি খুব সহজে দূর হয়। এছাড়াও অশ্বগন্ধা আমাদের শরীরের ভিতর রোগ প্রতিরোধ ক্...

চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায়।

  চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নিন- ছবিতে ক্লিক করুণ। খাবারে অ্যালার্জি, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা এমনকি পোকা মাকড়ের কামড়, চুলকানি, কুষ্ঠ রোগ ইত্যাদি কারনে চর্মরোগ হতে পারে। কোন ব্যক্তির এই ধরনের রোগ হলে চিকিৎসা তো অবশ্যই করতে হবে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে বা কিছু টিপস মেনে চললে চর্মরোগ হতে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিজের মধ্যে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই রোগ হওয়ার পরে চিকিৎসা করার চেয়ে চর্মরোগ না হওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে রাখলে ভাল নয় কি? সেই উপায় গুলো জেনে নেই। ১।ঘৃতকুমারী বা এলোভেরাঃ ঘৃতকুমারী বা এলোভেরার একাধিক গুন রয়েছে। ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে এই ঘৃতকুমারীর রসের ব্যবহার করা যায়। এইটা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ২। নিম পাতার রসঃ আমরা সবাই জানি যে, নিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা যেকোনো জ্বালা পোড়া বা জ্বালাময়ী ভাব কমিয়ে দিতে দারুণ কাজ করে থাকে। বিশেষ করে চুলকানি বা ত্বকের লাল লাল ছোপ পরলে নিম পাতার রস লাগালে দ্রুত কাজ করে। ৩। ফলমূলঃ ত্বক ভাল র...

গরমে সর্দি-কাশি সারানোর উপায়

গরমে সর্দি-কাশি সারানোর উপায় ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন।  প্রচন্ড গরমে অনেকেই এখন সর্দি-কাশিতে ভুগছেন! অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বারবার স্নান করা বা ফ্রিজের ঠান্ডা জল পান করার কারণে সর্দি-কাশি হতে পারে। এই করোনাকালে সাধারণ ঠান্ডা-কাশির লক্ষণ দেখেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ভেবে অনেকেই ভুল করেন। তাই সর্দি-কাশি হলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে বরং ঘরোয়াভাবে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। ওষুধ বা সিরাপ খাওয়ার আগে জেনে নিন এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যা সর্দি কাশিসহ বুকে কফ বা শ্লেষ্মার জন্য বিশেষ কার্যকরী- রসুন:   গরমে সর্দি-কাশি সারাতে রসুন বেশ কার্যকরী। এ উপাদানটি সবার রান্নাঘরেই থাকে। রসুন রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে। সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন, লেবু, মরিচ গুঁড়ো এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এই মিশ্রণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। মরিচের গুঁড়ো নাকে থার্মোজেনিক প্রভাব ফেলে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। আদা:   সর্দি-কাশি সারাতে আদার উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে! অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে এতে...