Skip to main content

চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায়।

 

চর্মরোগ থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে নিন- ছবিতে ক্লিক করুণ।


খাবারে অ্যালার্জি, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা এমনকি পোকা মাকড়ের কামড়, চুলকানি, কুষ্ঠ রোগ ইত্যাদি কারনে চর্মরোগ হতে পারে। কোন ব্যক্তির এই ধরনের রোগ হলে চিকিৎসা তো অবশ্যই করতে হবে। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে বা কিছু টিপস মেনে চললে চর্মরোগ হতে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিজের মধ্যে কিছু সহজ অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই রোগ হওয়ার পরে চিকিৎসা করার চেয়ে চর্মরোগ না হওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে রাখলে ভাল নয় কি? সেই উপায় গুলো জেনে নেই।

১।ঘৃতকুমারী বা এলোভেরাঃ
ঘৃতকুমারী বা এলোভেরার একাধিক গুন রয়েছে। ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা হলে এই ঘৃতকুমারীর রসের ব্যবহার করা যায়। এইটা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

২। নিম পাতার রসঃ
আমরা সবাই জানি যে, নিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা যেকোনো জ্বালা পোড়া বা জ্বালাময়ী ভাব কমিয়ে দিতে দারুণ কাজ করে থাকে। বিশেষ করে চুলকানি বা ত্বকের লাল লাল ছোপ পরলে নিম পাতার রস লাগালে দ্রুত কাজ করে।

৩। ফলমূলঃ
ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত ফলমূল খাওয়া বিশেষ প্রয়োজন। একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক ১৫০-২০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত।

৪। শাক সবজিঃ
চর্মরোগ থেকে বাঁচতে প্রচুর তাজা শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত শাক সবজি খাওয়া খুবই দরকার।

৫। প্রচুর জল পানঃ
বলা হয়ে থাকে জল বা পানির অপর নাম জীবন। শুধু ত্বকের যত্নেই নয় জল যেকোনো রোগের জন্য বা রোগ প্রতিরোধে প্রচুর জল পানের বিকল্প নেই। জল শরীরের ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

৬।অলিভ অয়েলঃ
ত্বক যখন শুষ্ক হয়ে যায়, তখন এটি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তখন যেকোনো রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়ে থাকেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা। এতে থাকা ভিটামিন ত্বকে মিশে গিয়ে ত্বকের আদ্রতা ভজায় রাখে।

৭। প্রসাধনীঃ
ত্বকে যেকোনো ধরনের প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারের আগে সচেতন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক প্রসাধনী রয়েছে যা রাসায়নিক পদার্থ সমৃদ্ধ। এইসব প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকে অ্যালার্জি তৈরী করে। এমন প্রসাধনী ব্যবহার পরিহার করতে হবে।

৮। শ্যাম্পু ও সাবানঃ
কিছু শ্যাম্পু ও সাবানে প্যারাবিন এবং সোডিয়াম ফ্লোরাইড বা সোডিয়াম সালফেট থাকে। যা ব্যবহারে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। তাই এই ধরনের শ্যাম্পু ও সাবান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা।

৯। তুলসীঃ
তুলসীর রয়েছে হাজারো রকমের গুন। বিভিন্ন ধরনের ক্ষত, লাল লাল ছোপ, পোড়া, চুলকানিসহ ত্বকের নানাবিধ সমস্যায় তুলসীপাতা বেটে রস লাগিয়ে দিলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।

১০। ওমেগা ফ্যাটি এসিডঃ
ত্বকের যত্নে বা ত্বক ভাল রাখতে ওমেগা ফ্যাটি এসিড খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এটি ত্বক ভাল রাখার খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় ওমেগা ফ্যাটি এসিড রাখার চেষ্টা করুন।

১১।বেকিং সোডাঃ
বেকিং সোডা দিয়েও ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করা
যায়। চর্মরোগে আক্রান্ত জায়গায় বেকিং সোডা লাগিয়ে দিন। দেখবেন অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই জ্বালা পোড়া ভাব বা চুলকানি কমে গেছে।

১২। সূর্যের আলোঃ
যারা সারাক্ষণ ছায়ার নিচে বসে থাকে খেয়াল করে দেখবেন তাদের ত্বক কেমন খসখসে হয়ে গেছে। তাই ত্বক ভাল রাখতে দৈনিক ১৫-১৮ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা। সারাক্ষণ এসির ঠাণ্ডা বাতাস না নিয়ে মাঝে মধ্যে শরীর ঘামানোরও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এই করোনাকালীন সবাই ভালো থাকবেন। আমার লেখাটি লাইক শেয়ার করে মানুষের উপকার করুণ। ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...