Skip to main content

গরমে সর্দি-কাশি সারানোর উপায়

গরমে সর্দি-কাশি সারানোর উপায় ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন। 



প্রচন্ড গরমে অনেকেই এখন সর্দি-কাশিতে ভুগছেন! অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বারবার স্নান করা বা ফ্রিজের ঠান্ডা জল পান করার কারণে সর্দি-কাশি হতে পারে। এই করোনাকালে সাধারণ ঠান্ডা-কাশির লক্ষণ দেখেই কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ভেবে অনেকেই ভুল করেন।তাই সর্দি-কাশি হলে প্রথমেই আতঙ্কিত না হয়ে বরং ঘরোয়াভাবে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। ওষুধ বা সিরাপ খাওয়ার আগে জেনে নিন এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার, যা সর্দি কাশিসহ বুকে কফ বা শ্লেষ্মার জন্য বিশেষ কার্যকরী-

রসুন: গরমে সর্দি-কাশি সারাতে রসুন বেশ কার্যকরী। এ উপাদানটি সবার রান্নাঘরেই থাকে। রসুন রক্ত পরিশোধক হিসেবে কাজ করে। সর্দি কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রসুন, লেবু, মরিচ গুঁড়ো এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।এই মিশ্রণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। মরিচের গুঁড়ো নাকে থার্মোজেনিক প্রভাব ফেলে। লেবুতে আছে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

আদা: সর্দি-কাশি সারাতে আদার উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারণা আছে! অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে এতে। যা গরমে সাধালন ফ্লু প্রতিরোধে সহায়ক।এজন্য আদা পাতলা টুকরো কেটে নিয়ে জলেতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর গরম জলেতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এই মিশ্রণটি আপনার সর্দি-কাশি খুব দ্রুত নিরাময় করবে।

দারুচিনি: সর্দি-কাশি নিরাময়ে দারুচিনি মহৌষধ বলে বিবেচিত! এটি ভাইরাস আক্রমণ এবং অন্যান্য সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে।এজন্য কিছুটা জল আস্ত দারুচিনি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই জলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার চায়ের মতো পান করুন। ফলাফল খুব দ্রুত টের পাবেন!

পেঁয়াজ: রান্নাঘরের আরও একটি উপাদান হলো পেঁয়াজ। সর্দি-কাশি সারাতে পেঁয়াজ হতে পারে একটি কার্যকর প্রতিকার। শুধু শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতেই সহায়তা করে না পেঁয়াজ; এতে উপস্থিত গুণাগুণ শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে দেয়।
একটি পাত্রে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ কেটে মধু মিশিয়ে নিন। পাত্রটি সারারাত ঢেকে রাখুন। সকালে খালি পেটে এর থেকে বেরিয়ে আসা সামান্য তরলটুকু পান করলেই উপকার মিলবে তাৎক্ষণিক।

তুলসি: যুগ যুগ ধরে সর্দি-কাশির ঘরোয়া টোটকা হিসেবে তুলসি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সর্দি-কাশি সারায়। নাক বন্ধ থাকলেও খুলতে সাহায্য করে তুরসির গুণাগুণ।ব্যবহারের জন্য প্রথমে তুলসি পাতা ও আদা একসঙ্গে গরম জলেতে ফুটিয়ে নিন। এবার গরম জলেতে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগলে এই মিশ্রণটি দিনে দুইবার পান করলে দ্রুত সুস্থবোধ করবেন।


Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...