Skip to main content

সর্দিকাশি থেকে বাঁচার উপায়।

সর্দিকাশি থেকে বাঁচার উপায় ছবিতে ক্লিক করুণ জানতে পারবেন।


ঠান্ডা লাগলে গলায় খুশখুশে ভাব, নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া, মাথা ভার হয়ে থাকার মতো সব বিরক্তিকর উপসর্গ দেখা দেবেই। সাধারণ সর্দি-কাশিতে কমসে কম এক সপ্তাহ পুরো নাজেহাল অবস্থা হয়ে থাকে। ওষুধপত্রে তেমন একটা কাজ হয় না। কারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করার মতো কার্যকর ওষুধ খুব একটা নেই। ঠান্ডা কিংবা সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

১. কাশি ও সর্দিতে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকুন। কাশি কিংবা সর্দি থেকে জীবাণুগুলো বাতাসে ভর করে ছোটে। যদি তার একটি আপনার চোখে কিংবা নাকে এসে পড়ে, তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আপনি আক্রান্ত হবেন কাশি কিংবা সর্দিতে।

২. বারবার আপনার হাত দুটি ধুয়ে নিন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডা ছড়ায় পরোক্ষ শারীরিক সংস্পর্শে। অর্থাৎ একজন অসুস্থ ব্যক্তির ঠান্ডার জীবাণু নাক থেকে হাতে স্থানান্তরিত হয়। সে যখন কোনো বস্তু স্পর্শ করে তখন হাত থেকে জীবাণু সেই বস্তুতে লেগে যায়। ঠান্ডার জীবাণু জড়বস্তুতে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

৩. বদ্ধ জায়গায় সতর্ক থাকুন। অফিসঘরগুলোতে বায়ু সঞ্চালন দুর্বল থাকে বলে সেখান থেকে ঠান্ডার ভাইরাসগুলো মিলিয়ে যেতে পারে না। অল্প আর্দ্রতায় শ্লেষ্মাঝিল্লি শুকিয়ে যায়, স্বাভাবিকভাবে সেখানে ভাইরাস এসে জুড়ে বসে। তাই অফিসঘরে কিংবা বদ্ধ স্থানে ঠান্ডার ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো লবণ-পানির নেসাল স্প্রে ব্যবহার করা।

৪. বেশি করে তরল পান করুন। আপনি যদি বেশি করে তরল পান করেন, তাহলে শরীর থেকে জীবাণু দূরীভূত হবে এবং শরীরে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তাও পূরণ হবে। এ সময় দৈনিক কমপক্ষে আট গ্লাস পানি, ফলের রস কিংবা অন্যান্য ক্যাফেইনমুক্ত তরল খাওয়া উচিত।

৫. নাক ও চোখ বেশি বেশি ঘষবেন না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ প্রতি এক ঘণ্টায় তার নাখ ও চোখ অন্তত তিনবার স্পর্শ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যদি আপনার এ রকম করতেই হয়, তাহলে দয়া করে আঙুলের মাথা দিয়ে চোখ ও নাক ঘষবেন না।

৬. বিছানা ছেড়ে ব্যায়াম করুন। সপ্তাহে তিনবার মুক্ত বাতাসে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাইকেল চালানো কিংবা নাচা আপনার শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে।

৭. আপনার রান্নাঘরের সামগ্রী জীবাণুমুক্ত রাখুন। রান্নাঘরের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো স্পঞ্জ ও ডিশব্যাগ। এগুলো ভেজা থাকে বলে এখানে ঠান্ডার জীবাণু বংশ বৃদ্ধি করে। এই জীবাণুকে দূর করার উৎকৃষ্ট উপায় হলো সপ্তাহে দু-তিনবার ডিশওয়াশার দিয়ে এগুলো পরিষ্কার করা।

৮. ভিটামিন ই ও সি খান। এখন বিশ্বাস করা হয় যে, ভিটামিন ই দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু চর্বি ও তেলজাতীয় খাবারে এটা বেশি থাকে বলে যাঁরা স্বল্প চর্বিযুক্ত খাবারে অভ্যস্ত, তাঁরা খাবার থেকে ভিটামিন ই খুব একটা বেশি পান না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ১০০-২০০ আইইউ সমৃদ্ধ ভিটামিন ই ট্যাবলেট খান।

৯. অ্যালকোহল পরিহার করুন। অনেকেই ভাবতে পারেন, অ্যালকোহল পান করলে ঠান্ডার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। তবে সত্যিকার অর্থে শারীরিক অন্য অসুবিধার সৃষ্টি করে। ফলে তা পরিহার করাই ভালো।

১০. কাশিকে প্রশমিত করুন। কাশি হলে সেটাকে প্রশমন করার চেষ্টা করুন। এর জন্য দুই ধরনের সিরাপ রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাশির ওষুধ খেতে পারেন।

১১. প্রতি রাতে চমৎকার ঘুম দিন। চমৎকার একটি ঘুম শরীরের রোগপ্রতিরোধ কোষগুলোর ক্ষমতা বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে আট ঘণ্টা চমৎকার ঘুমে জীবাণু ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

১২. সঠিক ডি কনজেসট্যান্ট ব্যবহার করুন। নাক বুজে গেলে ডি কনজেসট্যান্ট ড্রপ ও স্প্রে মুখে খাবার ওষুধের চেয়ে দ্রুত আপনার উপসর্গমুক্ত করবে। মুখে খাবার ওষুধ অনেক সময় হৃৎস্পন্দনকে বাড়িয়ে দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের রোগীরা তা খেতে পারেন না। তবে পরপর তিনদিনের বেশি এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১৩. গলাব্যথার আরামদায়ক ব্যবস্থা খুঁজুন। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লবণ দিয়ে গড়গড়া করলে ভালো কাজ হয়, বলেছেন মিশিগান স্টেটের ডা. মারে। তবে চা ও মধু ভালো কাজ করে। মেডিকেটেড লজেন্সে থাকে মেনথল, যা গলার অনুভূতি নাশ করে। প্রকৃতপক্ষে গলাব্যথার কোনো উপকার করে না। তাই গলাব্যথার জন্য লবণ-পানির গড়গড়াই উৎকৃষ্ট।

১৪. প্রাকৃতিক প্রতিষেধক ব্যবহার করুন। তুলসি গাছের পাতা ট্যাবলেট কিংবা ক্যাপসুলের চেয়ে বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক এই প্রতিষেধককে ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। যদি অ্যালার্জি না হয়,তাহলে তুলসির রস খান। ঠান্ডা আপনাকে ছেড়ে যাবে।

১৫. স্বল্প চর্বিযুক্ত মুরগির স্যুপ খান। যেকোনো গরম তরল উপসর্গ নিরসনে সাহায্য করে। তবে মুরগির স্যুপ ঠান্ডায় বিশেষভাবে স্বাচ্ছন্দ্যকর প্রতিক্রিয়া ফেলে বলেছেন ডিউক ইউনিভার্সিটির ভাং গ্রাডিসন। এই স্যুপে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ। 

আমার লেখাটি দয়া করে লাইক ও শেয়ার করবেন।প্রতিটি লেখা আপনাদের মনে প্রাণে যেন বিশ্বাস হয়।সেইভাবে আমি সঠিক চেষ্টায়  থাকি। আপনি নিজে নিজে চেষ্টা করুণ। দেখবেন এটা একটি সত্য চিকিৎসা। ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...