Skip to main content

ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায়।

 

ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ-



কোভিড সংকটের মাঝে দেশে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এডিস মশার মাধ্যমে এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত মানুষ। ডেঙ্গু ছাড়াও যন্ত্রণাদায়ক মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, জিকা ভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগ। মশা মারার স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল ব্যবহার করেও উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া তো যায়ই না উল্টো স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় মারাত্মক ভাবে। তাই মশা তাড়ানোর সহজ ৫ প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিতে পারেন।

লেবু ও লবঙ্গ

লেবু খণ্ড করে কেটে নিয়ে তার ওপরের অংশে কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। লক্ষ্য রাখবেন লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ যেনো বাইরের দিকে থাকে। এভাবে কয়েকটি টুকরায় লবঙ্গ গেঁথে একটি প্লেটে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে ঘরের মশা দূর হয়ে যাবে। চাইলে লেবুতে লবঙ্গ গেঁথে জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে মশা ঘরেই ঢুকবে না।


কর্পূর

মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। কারণ কর্পূরের গন্ধ মশা সহ্য করতে পারে না। যেকোনো ফার্মেসিতে কর্পূরের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট জলপূর্ণ বাটিতে ঘরের কোণে রেখে দিন। দেখবেন মশা উদাও হয়ে গেছে। দুই দিন পরে জল পরিবর্তন করে দিতে হবে। তবে আগের জলটুকু না ফেলে ঘর মোছার কাজে ব্যবহার করলে পিঁপড়ার যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি মিলবে।


নিমের তেল

সাধারণত নিমের তেল ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। এছাড়া এটি মশা তাড়াতেও ভূমিকা রাখে। তাই এক সাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এর ফলে মশা কাছে আসবে না এবং ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানান সমস্যাও দূর হবে।


লেমন গ্রাস

থাই লেমন গ্রাস থেকে যে সুগন্ধটা বের হয় তা বেশ শক্তিশালি বলা চলে। লেমন গ্রাসে থাকা সাইট্রোনেলা অয়েলের সুগন্ধ মশাদের যম। যদি আপনার আশেপাশে লেমন গ্রাসের ঝাঁড় থাকে তাহলে আপনি মোটামোটি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে মশারা আপনাকে বিরক্ত করবে না। আর লেমন গ্রাস কিন্তু দেখতেও মন্দ না। এমন সব স্থানে লেমন গ্রাসের টব রাখুন যেখানে পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত বসেন বা বাড়িতে অতিথি এলে আড্ডা দেওয়া হয়। দেখবেন মশা ধারে কাছে আসছে না।


পুদিনা পাতা

পুদিনা পাতার রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয়, পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে জলেতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। এতে মশা পালাবে। প্রয়োজনে পুদিনার তেলও গায়ে মাখতে পারেন।


আজকের যে লেখাটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি, এটা একটি 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনিও চেষ্টা করুণ ডেঙ্গু মশা থেকে বাঁচতে। দয়া 

করে লাইক শেয়ার করুণ এবং মানুষের একটু সেবা করুণ এটাই 

আমার বড় পাওয়া। ধন্যবাদ।


Comments

Popular posts from this blog

 

ঘি খাওয়া অনেক উপকার।

গাওয়া ঘিয়ের উপকারিতা  জেনে নিন লিংকে ক্লিক করুন কল্যাণকর বলেই হয়ত এখন পশ্চিমাদেশেও ঘি দিয়ে স্পা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত এরকমই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ফোর মুন স্পা’। সুখী ও ভালো থাকার জন্য তারা বিভিন্ন কার্যক্রম করেন। এই প্রতিষ্ঠানের ডা. অ্যামি চ্যাডউিইক সম্প্রতি স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ঘিয়ের নানান উপকারী দিক তুলে ধরেন।  উপকারিতা: দাহরোধী:  স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের জন্য চাই স্বাস্থ্যকর চর্বি। ঘাস খেয়ে বেড়ে ওঠা গাভীর দুধ থেকে তৈরি ঘিয়ে মেলে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা সিক্স ফ্যাট বা চর্বি। ছোট ও মাঝারি ‘চেইন’য়ের এ্ চর্বি প্রদাহের মাত্রা মৃদু করতে সাহায্য করে। কারণ এই চর্বি দ্রুত ভাঙে এবং হজম হয় সহজে। ফলে হজম প্রক্রিয়া, গলব্লাডার ও কোষের স্বাভাবিক কার্যাবলী বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জি কমায়:  ‘ল্যাকটোজ ইনটোলেরেন্ট’ বা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের যাদের পেটের গড়বড় হয় তাদের জন্য আদর্শ খাবার হতে পারে ঘি। চ্যাডউইক বলেন, “মাখনকে ১০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গরম করে ঘি তৈরি হয়, ফলে এই সকল আমিষ উপাদান পাত্রে থেকে যায়, শুধু চর্বি অ...

কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয়।

  কিডনি সুস্থ রাখতে করণীয় জেনে নিন ছবিতে ক্লিক করুণ- শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে কিডনি সুস্থ রাখা আবশ্যিক। কিডনির অবস্থা ঠিক থাকলে শরীরে হরমোন ব্যালান্স ঠিক থাকে। এছাড়াও মানবদেহে ছাকনির কাজ করে এই অঙ্গ। তাই এটি সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কী কী করণীয়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিকভাবে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকে কিডনি। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী- শরীরের হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন। তাই যথেষ্ট পরিমাণে জল পানের পরামর্শ দেন অনেকেই। দিনে ৮ গ্লাস জল পান স্বাভাবিক বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের, যাতে মূত্রের রং হালকা হলুদ বা রঙহীন হয়। ডায়েট ঠিও রাখা দরকার কিডনি ভালো রাখতে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ কিডনির অসুখ ডেকে আনার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই স্বাস্থ্যকর এবং কম সোডিয়াম যুক্ত, কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ফলে ওজন, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। রক্তের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে দিয়ে ছাকনির কাজ করে কিডনি। তাই আপনারও দায়িত্ব কিডনিকে সুস্থ রাখা। অ্যালকোহল, ওষুধ ইত্যাদি...