ডাবের জল খাওয়ার উপকারিতা ছবিতে ক্লিক করুন জেনে নিন-
রিহাইড্রেশানের উন্নতি ঘটায়
ডাবের জলের ভেতরের ইলেক্ট্রলাইটের গঠন ডায়ারিয়া, বমি ও অত্যাধিক ঘামের জন্য যে ফ্লুয়িড নষ্ট হয়ে যায় সেটা পুনরায় ভরে দেয়। এটা কার্বোহাইড্রেটের উৎকৃষ্ট উৎস এবং এনার্জির মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে।
গবেষণা অনুসারে, শরীরচর্চার পরে ডাবের জলের সাহায্যে শরীরকে রিহাইড্রেট করা হয়। এটাও দেখা গিয়েছে, যে স্পোর্টস ড্রিঙ্কের মতন, ডাবের জলও একই ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।শরীরকে রিহাইড্রেট করা ছাড়া, ডাবের জল হজম করাও সহজ। এটা অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদহজম ও গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিসের মতন পেটের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে।
হ্যাঙ্গোভার কাটায়
অ্যালকোহল ডিহাইড্রেশানের কারণ, যার জন্য সকালবেলায় আচ্ছন্ন লাগে। ডাবের জল, হাইড্রেট করার সাথে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট পুনস্থাপন করার ফলে ভালো লাগে।
এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যালকোহলের জন্য হওয়া অক্সিডেটিভ চাপের মোকাবিলা করার সাথে পাকস্থলীর অ্যাসিডকে প্রতিষ্ঠাপন করে।
চিনি ছাড়া ডাবের জলে সাথে পাকা আম, লেবুর রস, পুদিনা ও সামান্য বরফ দিয়ে হ্যাঙ্গোভার কাটানোর উপযোগী খাবার বানাতে পারেন।
রক্তচাপ কমায়
ডাবের জলের মধ্যের ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম অধিক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। পটাশিয়াম, সোডিয়ামের নেতিবাচক প্রভাবের ভারসাম্য রাখার ফলে রক্তচাপ কমে।
গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, যে ডাবের জল হাইপারটেনশান নিয়ন্ত্রণ কমাতে সাহায্য করে। ফলাফল পেতে দিনে দুইবার করে এককাপ ডাবের জল খান।
হৃৎপিণ্ডের জন্য ভালো
ডাবের জল খেলে, সেটা হৃৎপিণ্ডকে রক্ষা করবার সুবিধা দেয়। এটা এলডিএল কোলেস্টেরল কমানোর সাথে এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
সার্বিক কোলেস্টেরল বৃদ্ধি সহ খুব কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন, এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইডে বাধা দেবার জন্য, গবেষণা লিপিড মেটাবলিজমের ওপর ডাবের জলের প্রভাব সমর্থন করে।
ডাবের জলের মধ্যে শরীরের ওপর অ্যান্টি-প্লেটেলেট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি প্রভাব আছে, যার সংবহনের উন্নতির সাথে প্লেকে হওয়া কমানো ও হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক হবার ঝুঁকি কমানোর প্রভাব আছে।
ওজন কমানোয় সহায়তা করে
ডাবের জলের মধ্যে কম পরিমাণ ক্যালোরি থাকে ও এটা পাকস্থলীর জন্য সহজ। এর বায়োঅ্যাক্টিভ এনজাইম হজমে সহায়তা করবার পাশাপাশি ফ্যাটের হজমও বাড়ায়।
শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম থেকে জল ধরে রাখে। ডাবের জলের মধ্যের পটাশিয়াম, শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ও টক্সিন বের করে দেয়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে
ডাবের জল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবার সাথে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এর মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ডায়াটারি ফাইবার থাকে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের সাধারণ সমস্যা দূর করে। এটা এমনকি পায়ের অসাড়তা ও আর্থারোস্কেরেরোসিসের মতন উপসর্গ কমায়। গবেষণা পর্যন্ত, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ও অক্সিডেটিভ চাপে কমানোর ক্ষেত্রে পরিণত ডাবের জলের থেরাপিউটিক প্রভাব খুঁজে পেয়েছে।
ডিহাইড্রেশান থেকেই অধিকাংশ সময়ে মাথার যন্ত্রণা হয়। ডাবের জল একাধারে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে এবং হাইড্রেশান বাড়ায়। গবেষণা সুপারিশ করেছে, যে ম্যাগনেসিয়াম ঘন ঘন মাইগ্রেন অ্যাটাক হওয়া কমায়। ডাবের জল ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এবং এটা মাইগ্রেনের ব্যথা কমায়।
পিএইচের মাত্রা সুস্থির করে
চাপ-ধকলের মধ্যে, টক্সিক ভার থাকলে ও প্রসেসড ফার্স্ট ফুড খেলে শরীরের অ্যাসিডিক পিএইচের মাত্রা অনেক বেশী হয়ে যায়। এটা থেকেকম এনার্জির সাথে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের শোষণ কম হয়। অ্যাসিডিক পিএইচ চাপ, পূর্ন লিভারের কার্যকলাপ, অস্টিওপরেসিস, রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, অধিক রক্তচাপ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবের মতন সমস্যার জন্য দায়ী। ডাবের জল, গলা-বুক জ্বালা ও অ্যাসিডিটি থেকে হওয়া শরীরের অ্যাসিডিক মাত্রাকে অ্যালকালাইন করে দেয়।
প্রাকৃতিক ডিউরেটিক
প্রাকৃতিক ডিউরেটিক হিসেবে, ডাবের জল মুত্র উৎপাদন বাড়ানোর সাথে মুত্রের প্রবাহ ও শরীরের টক্সিন বের হওয়া বাড়ায়। ডাবের জলের মধ্যের পটাশিয়াম মুত্রকে অ্যালকালাইন করে দেয়। এটা কিছু ধরণের কিডনি স্টোন গলিয়ে বের করে দেয়।
ডাবের জলের অ্যান্টিব্যাকোটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে, যা মূত্রনালি ও মুত্রাশয়ের সংক্রমণের মোকাবিলা করে।
বয়সের ছাপ পড়ার গতি আস্তে করে দেয়
ডাবের জলের ভেতরের সাইটোকিনিন্সের অ্যান্টি-এজিং গুণ থাকে, যা ডিজেনারেটিভ ও বয়স সংক্রান্ত রোগ হবার ঝুঁকি কমায়। এটা তাছাড়াও ত্বককে হাইড্রেট কর ও পুষ্টি প্রদান করে এবং এটাকে নরম, নমনীয় ও মসৃণ রাখে।
কিছু বিষয় মাথায় রাখবেন?
এটা থেকে কোন কোন ক্ষেত্রে পেট ফোলে ও পেটের হালকা গড়বড় হয়।
সার্জারির হবার নির্ধিরিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগে ডাবের জল খাবেন না, কারণ এটা সার্জারির সময়ে ও পরে রক্তচাপের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে।
কিডনির ত্রুটিপূর্ণ ক্রিয়া যাদের তাদের ডাবের জল খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নেওয়া উচিৎ।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক ও শেয়ার করবেন। আসুন মানুষের সেবা করি ভালো কাজে থাকি। ধন্যবাদ।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments